Breaking

Saturday, November 8, 2025

November 08, 2025

নির্বাচনী বাধার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মুফতি রায়হান জামিলের ঝাড়ু মিছিল

 

নির্বাচনী বাধার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মুফতি রায়হান জামিলের ঝাড়ু মিছিল
নির্বাচনী বাধার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মুফতি রায়হান জামিলের ঝাড়ু মিছিল

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি, গেট-ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের প্রতিবাদে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চরভদ্রাসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। শত শত নেতাকর্মী নিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করেন তিনি।


মিছিলটি চরভদ্রাসন উপজেলার এমকে ডাঙ্গী মাদ্রাসা থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চরভদ্রাসন বাজার ব্রিজ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও ভাঙচুরের ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, “মুফতি রায়হান জামিল ফরিদপুর-৪ তথা চরভদ্রাসনের স্থানীয় প্রার্থী। অথচ তার গেট ও ব্যানার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ আসনে বাইরের অঞ্চল থেকে এসে কিছু প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। রায়হান জামিলের জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তার নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।”


সম্প্রতি সদরপুর ও চরভদ্রাসনের বিভিন্ন স্থানে মুফতি রায়হান জামিলের সমর্থকদের তৈরি করা নির্বাচনী গেট ভেঙে ফেলা এবং ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে।


প্রতিবাদ সমাবেশে শক্ত অবস্থান জানিয়ে মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “আমি আমার বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষ ধরে ফরিদপুর-৪ আসনের সন্তান। এই মাটি, এই মানুষই আমার শক্তি। আমি কোনো বাইরের প্রার্থী নই। আমি এখানকার সন্তান হিসেবে মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়েই নির্বাচনে নেমেছি। অথচ আমার গেট-ব্যানার ভেঙে আমার প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমার প্রতি নয়, ফরিদপুর-৪ আসনের মানুষের প্রতি অবমাননা।


আমি প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই - এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন, দোষীদের আইনের আওতায় আনুন। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।


আমি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষের মানুষ। কিন্তু যদি আবারও আমার ব্যানার-ফেস্টুন বা গেট ভাঙচুর করা হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলব। এই ফরিদপুর-৪ আসনের মাটিতে অন্যায়ের জায়গা হবে না।”



Monday, November 3, 2025

November 03, 2025

ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামা ওবায়েদ, নায়াব ইউসুফ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল

 

ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামা ওবায়েদ, নায়াব ইউসুফ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল
ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামা ওবায়েদ, নায়াব ইউসুফ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল

নাজমুল হাসান নিরব:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারাদেশের ২৩৭টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।


ফরিদপুর জেলার চারটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। প্রার্থীরা হলেন-ফরিদপুর-২ ( নগরকান্দা ,সালথা  ও ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ও হামিরদি ইউনিয়ন ) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কু,ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ,এবং ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।


বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কন্যা শামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কু ফরিদপুর-২ আসনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।


তিনি বলেন, “এই মনোনয়ন কেবল আমার নয়, ফরিদপুর-২ আসনের মানুষের। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দেবে। বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আর আমি সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।”


তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা রেখেছেন, আমি তা মর্যাদা দিয়ে রক্ষা করব। ফরিদপুরের মানুষ উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র চায়— আমি তাদের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করব।”


ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ, যিনি বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ও কিংবদন্তি রাজনীতিক চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা।


তিনি বলেন, “আমার বাবা ফরিদপুরের মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। তার দেখানো পথেই আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব—মানুষের সেবা করার সুযোগ।”


তিনি আরও বলেন, “ফরিদপুর-৩ আসনের জনগণের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি চাই, মানুষ যেন এই আসনে আবারও গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতি ফিরে পায়। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষই সেই পরিবর্তনের প্রতীক।”


ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।


তিনি বলেন, “মনোনয়ন দেওয়া দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি আমাদের মানুষকে সামনে রেখে কাজ করবো এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিবেদিত প্রাণ। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করি। ফরিদপুর-৪ এর মানুষের আশা ও বিশ্বাস রক্ষা করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।”


তিনি আরও যোগ করেন, “এবারের মনোনয়ন আমাদের জন্য বড় অর্জন—দীর্ঘ ১৭ বছর পর এটি সম্ভব হয়েছে বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে। এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে জয় আমাদের হবেই।”


এদিকে ফরিদপুর-১ আসনে (মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী) বিএনপি এখনও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি। শিগগিরই এ আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।



Friday, October 31, 2025

October 31, 2025

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল, আনন্দে কেঁদে ফেললেন অসহায় মানুষ

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল, আনন্দে কেঁদে ফেললেন অসহায় মানুষ
১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল, আনন্দে কেঁদে ফেললেন অসহায় মানুষ

 


নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর:

অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা–সদরপুর–চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ব্যবসায়ী মুফতি রায়হান জামিল। তিনি মাত্র ১ টাকায় কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন গরিব ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে।


বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে নিজ হাতে অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেন এক কেজি করে গরুর মাংসের প্যাকেট। মানবিক এই উদ্যোগে খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন দরিদ্র পরিবারগুলো।



গরুর মাংস হাতে পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আক্তার হোসেন নামে এক যুবক বলেন, “রায়হান জামিল ভাই অসাধারণ মানুষ। তিনি যা বলেন, তা করেন। অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে গরুর মাংস খেতে পারব—এটা যেন স্বপ্নের মতো।”


ভ্যানচালক আক্কাস মোল্যা বলেন, “ছয় মাস ধরে মাংস খাইনি। আজ পথে এক প্যাকেট মাংস হাতে পেয়ে আমি অবাক। মন থেকে দোয়া করি তার জন্য।”


গৃহিণী পারভীন আক্তার জানান, “স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে, মাসের বেশিরভাগ সময় কাজও থাকে না। কোরবানির পর আজ প্রথমবার মাংস খেতে পারছি। আল্লাহ যেন এমন ভালো মানুষকে বরকত দান করেন।”


বৃদ্ধ ভ্যানচালক সেক রহিম বলেন, “শুনেছি, উনি নাকি আগে ১০ টাকায় ইলিশও বিক্রি করেছিলেন। আজ ১ টাকায় মাংস দিলেন! আজ আর ভ্যান চালাব না—পরিবার নিয়ে একসাথে ভাত খাব।”


মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “বর্তমান বাজারে গরুর মাংসের দাম এত বেড়েছে যে অনেক গরিব মানুষ কোরবানির ঈদ ছাড়া তা খেতে পারে না। তাই আমি তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ১ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। এর আগেও ২ টাকায় চাল, ১০ টাকায় ডিম ও ১০ টাকায় ইলিশ বিক্রি করেছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”


তিনি আরও বলেন,“ভালো কাজ করলে বাধা আসবেই, কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করা থামাব না। আমি চাই, সমাজে কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে।”


দিনভর এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও তরুণ সমাজকর্মীরা। স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবে মুফতি রায়হান জামিল এখন এলাকার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।



Wednesday, October 22, 2025

October 22, 2025

ফরিদপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন ১৩ বছরের হানযালা

 

ফরিদপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন ১৩ বছরের হানযালা
ফরিদপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন ১৩ বছরের হানযালা

নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাত্র ২০ টাকার বিরোধ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশু মাদ্রাসাছাত্র আমির হামজা ওরফে হানযালা (১৩)কে হত্যা করেছে তারই বন্ধু ও সহপাঠী ফরহাদ রেজা (১৬)। 


বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আজম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


গত সোমবার (২০ অক্টোবর) হানযালার বাবা সায়েম উদ্দিন বিশ্বাস ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম। তদন্ত চলাকালেই মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে চান্দড়া মাদ্রাসার পাশে একটি ডোবায় ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা দেখতে পান স্থানীয়রা।


খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি উদ্ধার করে খুললে পাওয়া যায় হানযালার অর্ধগলিত মরদেহ। বস্তার ভেতরে ছিল কয়েকটি ইটও।


এএসপি আজম খান জানান, “ঘটনার রাতে আমি মধুখালী থেকে সরেজমিনে তদন্ত করি। পরদিন সকালে চারটি টিমে ভাগ হয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অনুসন্ধান শুরু করতেই প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসে।”


তিনি বলেন, “ফরহাদ ও হানযালা দুজনই চান্দড়া তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র। হানযালার কাছ থেকে ফরহাদ ৫০ টাকা ধার নিয়েছিল। ৩০ টাকা ফেরত দিলেও বাকি ২০ টাকার জন্য তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।”


পুলিশের ভাষ্যমতে, আসরের নামাজের পর ফরহাদ হানযালাকে বলে, “চলো, বাড়ি থেকে টাকা দিয়ে দিচ্ছি।” এরপর তারা মাদ্রাসার পেছনের ধানক্ষেত হয়ে পাশের বাগানে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফরহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে হানযালার গলা চেপে ধরে হত্যা করে।


হত্যার পর সে মাদ্রাসায় ফিরে এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে, ক্লাস করে এবং স্বাভাবিক আচরণ করে। পরদিন ভোরে বাড়ি গিয়ে একটি বস্তা ও ইট নিয়ে আসে। হানযালার মরদেহ বস্তায় ভরে পাইজামার ফিতা দিয়ে মুখ বেঁধে ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর গোসল করে মাদ্রাসায় ফিরে যায় এবং পরে পালিয়ে পড়ে।


চান্দড়া তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার মোহতামিম মাওলানা আমিনুল্লাহ বলেন, “দুজনই আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র। এত অল্প বয়সে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে, তা কল্পনাও করিনি। পুরো মাদ্রাসায় এখন শোকের ছায়া।”


নিহত হানযালা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সায়েম উদ্দিন বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে। তিন মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি।


কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা সায়েম বিশ্বাস বলেন, “আমার মাসুম বাচ্চাটা কী দোষ করল, যে ওকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল! আমার একটাই ছেলে ছিল। আমি খুনির ফাঁসি চাই।”


এ ঘটনায় এলাকায় গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিষ্পাপ শিশু হানযালার মুখ মনে পড়লেই চোখ ভিজে যাচ্ছে স্বজন ও প্রতিবেশীদের।



October 22, 2025

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিল

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিল
১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিল



নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর:

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী রায়হান জামিল এবার মাত্র ১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পোস্টার ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।


পোস্টারে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভাঙ্গা উপজেলায় গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য ১ কেজি গরুর মাংস ১ টাকায় বিক্রি করা হবে রায়হান জামিলের পক্ষ থেকে।


এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর, তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। তখন হাজারো মানুষ ইলিশ কিনতে ভিড় জমালেও পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।


 “বিশৃঙ্খলা এড়াতে টোকেন ব্যবস্থা”

১ টাকায় মাংস বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে রায়হান জামিল বলেন, “আমি আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণ করবো। যাদের দেয়া হবে তাদের তালিকা তৈরি করে টোকেন প্রদান করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিতরণের স্থান গোপন রাখা হবে। আপাতত ১০০ জন অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে ১০০ কেজি মাংস দেয়া হবে।”


তিনি আরও বলেন, “আগের মতো বিশৃঙ্খলা এবার হতে দেব না। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতায় কাজ করবো। ভালো কাজের পথে বাধা আসতে পারে, তবে তা থামানো যাবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”


স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, “রায়হান জামিলের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ফরিদপুরের বড় বড় নেতারাও এমন কাজ করেননি। তার এই মানবিক উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।”


অন্যদিকে মনিরুজ্জামান সেক নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “ছেলেটা মানুষের জন্য চেষ্টা করছে। তার চেষ্টায় যদি অসহায় মানুষ উপকার পায়, তাহলে সেটা ভালো কাজই।”


এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন (বিপি) বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের ১ টাকায় মাংস বিক্রির বিষয়ে শুনেছি। তার সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে তাকে এখনো অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি যদি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারেন, তাহলে পুলিশ প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করবে।”


রায়হান জামিলের এই ঘোষণা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

Saturday, October 4, 2025

October 04, 2025

ফরিদপুরে হত্যার আগে খোঁড়া হলো কবর, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল যুবক

ফরিদপুরে হত্যার আগে খোঁড়া হলো কবর, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল যুবক
ফরিদপুরে হত্যার আগে খোঁড়া হলো কবর, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল যুবক


নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের সদরপুরে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে ঠান্ডু বেপারী (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যার চেষ্টা চালায়। হত্যার আগে পরিকল্পনা করে কবরও খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।


শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ঠান্ডু বেপারী উপজেলার ছলেনামা গ্রামের মিয়াচান বেপারীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে ঠান্ডুকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। অচেতন হওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।


এর আগেই বাড়ির পাশের বারান্দায় একটি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। তবে মুখে দড়ি বাঁধা থাকলেও গলা পুরোপুরি না কাটায় ঠান্ডু বেঁচে যান। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।


খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ওসি সুকদেব রায়। তিনি জানান, “এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”


ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।


ফরিদপুরের সদরপুরে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে এক ব্যক্তিকে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। হত্যা চেষ্টার আগেই কবর খুঁড়ে রাখা হয়। হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার দেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এমন নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা  ঘটে। ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামের মিয়াচান বেপারীর পুত্র ঠান্ডু বেপারী (৩৫)। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন। 

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এর আগে পাশের ঘরের বারান্দায় একটি কবর প্রস্তুত করে রাখা হয়।


 তবে মুখে দড়ি বাঁধা থাকায় গলা পুরোপুরি না কাটায় ঠান্ডু বেঁচে যান এবং চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর স্বামী ঠান্ডু বেপারীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সদরপুর থানা পুলিশকে খবর দেন তারা।

 

ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি জানান,এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


Sunday, September 28, 2025

September 28, 2025

সালথায় সাংবাদিককে বিকালে শ্রমিকদল ও যুবদল নেতার হুমকি, রাতে ক্ষমা প্রার্থনা

 

সালথায় সাংবাদিককে বিকালে শ্রমিকদল ও যুবদল নেতার হুমকি, রাতে ক্ষমা প্রার্থনা
সালথায় সাংবাদিককে বিকালে শ্রমিকদল ও যুবদল নেতার হুমকি, রাতে ক্ষমা প্রার্থনা

নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের সালথায় বিকেলে দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি রেজাউল করিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রাতেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কামাল বিশ্বাস ও কথিত যুবদল নেতা বালাম বিশ্বাস। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ ঘটনাপ্রবাহ ঘটে।


সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন সালথা বাজারের বটতলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকের একপর্যায়ে কামাল বিশ্বাস ও বালাম দাই শফিকুলকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিয়ে বলেন, “পাড়ায় ধরে মেরে ফেলবো।” এতে উপস্থিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


হুমকির ঘটনা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলে শনিবার রাতেই কামাল বিশ্বাস ও বালাম দাই সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবার কাছে ক্ষমা চান। পরদিন রোববার দুপুরে কামাল বিশ্বাস ও বালাম দাই দু’জনেই নিজেদের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে সাংবাদিক সমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।


তাদের স্ট্যাটাসে লেখা হয়- “সালথায় সাংবাদিকদের সাথে আমাদের একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে। আমরা এখন থেকে মিলে-মিশে চলবো ইনশাআল্লাহ।”


সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন, “তারা প্রেসক্লাবের সব সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমার মা-বাবার কাছেও এসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাই আমি বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে চাই না।”


সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “যেহেতু তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন এবং সাংবাদিক শফিকুল ইসলামও ক্ষমা করে দিয়েছেন, তাই আমরা আর বিষয়টি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই না। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।”



September 28, 2025

ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড

 

ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।


রায় ঘোষণার সময় আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল ওয়াহাব মোল্লা (৪২) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।


বাদী (মেয়ের মা) এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালে তার সদরের কৃষ্ণনগর এলাকার আব্দুল ওয়াহাব মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ২০২০ সালে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে এবং বাদী অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে দুই মেয়ে কখনো মায়ের কাছে, কখনো বাবার কাছে থাকত।


বাদীর বড় মেয়ে (বর্তমানে ১৫) বাবার বাড়িতে অবস্থানকালে বারবার ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমদিকে বিষয়টি জানালেও কেউ বিশ্বাস করেনি। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই বছর মেয়েটি নির্যাতনের শিকার হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটলে মেয়ে মাকে বিষয়টি জানায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।


পরে বাদী ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক সোহানা আক্তার ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রাব্বানী ভূঁইয়া বলেন, আদালতে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অনাদায়ে আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে প্রশাসনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, “এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বাবার কাছে যদি মেয়ের নিরাপত্তা না থাকে, তবে সমাজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”


September 28, 2025

‘পাড়ায় ধরে মেরে ফেলব’ সালথায় সংবাদিককে শ্রমিক-যুবদল নেতার হুমকি

 

‘পাড়ায় ধরে মেরে ফেলব’ সালথায় সংবাদিককে  শ্রমিক-যুবদল নেতার হুমকি
‘পাড়ায় ধরে মেরে ফেলব’ সালথায় সংবাদিককে  শ্রমিক-যুবদল নেতার হুমকি


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিকদল ও যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সালথা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামকে এই হুমকি দেওয়া হয়।


অভিযোগে জানা যায়, সালথা উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কালাম বিশ্বাস এবং যুবদল নেতা পরিচয়ধারী বালাম দাই এ সময় শফিকুল ইসলামকে লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগীও উপস্থিত ছিলেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকের সময় এ ঘটনা ঘটে। সালিশ চলাকালে বালাম দাই ও কালাম বিশ্বাস সাংবাদিক শফিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সাংবাদিক হয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিস, পাড়ায় ধরে মেরে ফেলবো।”


শফিকুল ইসলামের বড় ভাই ও দৈনিক নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিম এগিয়ে এলে তাকেও মারধরের চেষ্টা করা হয়। পরে সালথা প্রেসক্লাবের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।


এ ঘটনায় রাতে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম।


সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়েছি। বর্তমানে দুর্গাপূজা ডিউটিতে বাইরে আছি। থানায় ফিরে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।”


সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বড় ধরনের হুমকি। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”





Friday, September 26, 2025

September 26, 2025

চরভদ্রাসনের পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ৮

চরভদ্রাসনের পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ৮

 


নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে ভয়াবহ স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দুর্গা রানী রায় (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।


শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালপুর ঘাট থেকে দোহারের চরমৈনট ঘাটে যাওয়ার পথে নদীতে প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটের তলা ফেটে গিয়ে ডুবে যায়।


প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আরেকটি স্পিডবোট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে। নিহত দুর্গা রানী রায় চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বিমল রায়ের স্ত্রী।আহতদের মধ্যে নিহতের তিন বছরের নাতি লক্ষণ রায়ও রয়েছেন।


যাত্রী মাসুদ আলম বলেন,“এ ধরনের স্পিডবোটে সাধারণত ১২ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়। কিন্তু দুর্ঘটনাকবলিত বোটে ১৮ জন যাত্রী তোলা হয়েছিল। নদীর স্রোত ও ঢেউয়ের আঘাতে বোটের তলা ফেটে গেলে সেটি ডুবে যায়।”


চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান জানান,“আমাদের এখানে একজন নিহত ও ৮ জন আহতকে আনা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত মারিয়াকে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।”


চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. মর্তুজা ফকির বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ এবং ১৭ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বোটটির তলা ফেটে পানি ঢুকে ডুবে যায়। একজন গুরুতর রোগীকে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।”


September 26, 2025

সালথায় জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ সমাবেশে ৫ দফা দাবির পক্ষে হুঁশিয়ারি

সালথায় জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ সমাবেশে ৫ দফা দাবির পক্ষে হুঁশিয়ারি
সালথায় জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ সমাবেশে ৫ দফা দাবির পক্ষে হুঁশিয়ারি


সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।


শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় উপজেলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাইপাস সড়কে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।


সমাবেশে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ বলেন,“দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে ৫ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৪১ সাল থেকে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। শত বছর সময় লাগলেও আমরা ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।”


তিনি আরও বলেন,“বাংলাদেশের ৭১% মানুষ পিআর পদ্ধতি চায়। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু মানুষের কথায় গণমানুষের এ দাবি উপেক্ষা করছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলবে।”



অন্য বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,“৫ দফা দাবি না মানলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মো. তরিকুল ইসলাম।


এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান মজনু,উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী মাহবুব আলী সিদ্দিকী (নসরু),রামকান্তপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছায়েম মোল্যা,মাঝারদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি ওয়ালিউজ্জামান,যদুনন্দী ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মিকাইল হোসেন,রামকান্তপুর ইউনিয়ন সভাপতি মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।


বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক অংশ নেন।