Breaking

Sunday, December 21, 2025

December 21, 2025

ফরিদপুর-৪ আসনে মানবিক সমাজসেবক রায়হান জামিলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

 

ফরিদপুর-৪ আসনে মানবিক সমাজসেবক রায়হান জামিলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ফরিদপুর-৪ আসনে মানবিক সমাজসেবক রায়হান জামিলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ


নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মুফতি রায়হান জামিল।





রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুফতি রায়হান জামিল। এতে জানানো হয়, শনিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন তার হাতে মনোনয়নপত্র হস্তান্তর করেন।


মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে মুফতি রায়হান জামিল বলেন,“আমি নির্বাচন কমিশনের সব বিধি-বিধান মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। বর্তমান আইনি কাঠামোর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ফরিদপুর-৪ আসনের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই তার নির্বাচনে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য।


উল্লেখ্য, মুফতি রায়হান জামিল দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর-৪ আসনে সমাজসেবা ও মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচিত মুখ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ টাকায় ইলিশ মাছ, ৩০ নভেম্বর ১ টাকা দরে গরুর মাংস এবং ১১ জুলাই ২ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের মতো ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন। পাশাপাশি নির্বাচনী গেট ও ব্যানার ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঝাড়ু হাতে মিছিল এবং গভীর রাতে দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ঘটনাও জনমনে সাড়া ফেলে।


এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জুনায়েদ, জোবায়ের হোসেন, তায়বুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে।আগামীর পথচলায় ফরিদপুর-৪ আসনের জনগণের দোয়া, সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন মুফতি রায়হান জামিল।


Wednesday, December 17, 2025

December 17, 2025

পরিত্যক্ত জমি থেকে আধুনিক খেলার মাঠ: সমাজসেবক তুহিনের অনন্য উদ্যোগ

পরিত্যক্ত জমি থেকে আধুনিক খেলার মাঠ: সমাজসেবক তুহিনের অনন্য উদ্যোগ
পরিত্যক্ত জমি থেকে আধুনিক খেলার মাঠ: সমাজসেবক তুহিনের অনন্য উদ্যোগ

 


DESK:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু করেছে একটি নিজস্ব ও আধুনিক খেলার মাঠ। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১৬ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও কার্যক্রম শুরু হয়।





এর আগে উপজেলা পরিষদের নিজস্ব মাঠ না থাকায় জাতীয় দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানগুলো স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হওয়ায় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।


উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরোনো ভবনের পেছনে অবস্থিত একটি বড় নিচু জমি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক জায়গাটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক খেলার মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং এ কাজে স্থানীয় সমাজসেবকদের সহযোগিতা কামনা করেন।


ইউএনওর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাঠ নির্মাণের দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে।


হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী এবং লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান তুহিন প্রায় এক মাস ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জমিটিকে একটি সমতল ও দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠে রূপান্তর করেন। বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত একটি মনোরম পরিবেশে পরিণত হয়েছে।


১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা নতুন মাঠে প্রথম বড় আয়োজন হিসেবে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।


নতুন মাঠে প্রথম আয়োজন সফল হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, “তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা এই উদ্যোগ নিই। আজ যখন দেখি আলফাডাঙ্গাবাসী এই মাঠে একত্রিত হয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন সত্যিই ভালো লাগছে। এটি ভবিষ্যতে সবার জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হবে।”


এই উদ্যোগের প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, “উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি খেলার মাঠের অভাব দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। সমাজসেবক তুহিনের উদ্যোগে সেই সংকট দূর হয়েছে। এ ধরনের তরুণ উদ্যোগ সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখে।”


উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজনদের মতে, নতুন এই খেলার মাঠটি ভবিষ্যতে খেলাধুলার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হবে।



Sunday, December 14, 2025

December 14, 2025

ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

 

ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক
ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

পেঁয়াজের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ফসলি জমিতে হালি পেঁয়াজের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা। দল বেঁধে সারিবদ্ধভাবে চলছে পেঁয়াজ রোপণের কর্মযজ্ঞ -দম ফেলার ফুরসত নেই কারও।


সালথার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ। বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে এ ফসলের ওপরই নির্ভরশীল অধিকাংশ কৃষক। তাই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও প্রতিদিন খুব সকালে মাঠে নামছেন তারা।


সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজ চাষ হয় এই উপজেলাতেই। তবে গত মৌসুমে পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কিছু কৃষক এবার বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকেছেন বলেও জানা গেছে।


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে একেকটি জমিতে দুজন করে শ্রমিক ছোট হাত নাঙ্গল দিয়ে মাটির ফাঁক তৈরি করছেন। অন্যদিকে ২৫-৩০ জনের একটি দল সারিবদ্ধভাবে বসে পেঁয়াজের চারা রোপণ করছেন। পাশাপাশি আরেক দল শ্রমিক হালি পেঁয়াজের চারা উত্তোলন করে এনে জমিতে কর্মরত শ্রমিকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। চারা রোপণ শেষ হলেই শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ এবং প্রয়োজনীয় সার ও ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।





সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা গ্রামের কৃষক সিরাজ মোল্লা বলেন, “এবার ১৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ বপণ করেছি। সেই চারা দিয়ে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে হালি পেঁয়াজ রোপণ করছি। প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম যদি এমনই থাকে, তাহলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আশা করছি এবার ফলন ও দাম দুটোই ভালো হবে।”


একই উপজেলার সালথা গ্রামের কৃষক আবু মোল্লা বলেন, “আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পাট ও পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এই দুই ফসলের দাম ভালো হলে সারা বছর স্বস্তিতে থাকা যায়। গতবার পেঁয়াজে লোকসান হলেও এবার ঝুঁকি নিয়েই চাষ করছি।”


সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন সিকদার জানান, “সালথা উপজেলা পেঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ বছর এখানে ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে হালি পেঁয়াজ রোপণের কাজ চলছে। কৃষকদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”


সব মিলিয়ে সালথাজুড়ে এখন পেঁয়াজ আবাদের ব্যস্ত সময়। ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্যের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।


Friday, December 12, 2025

December 12, 2025

ইসির নির্দেশে নিজ উদ্যোগে পোস্টার–ব্যানার সরালেন ফরিদপুর-৪ প্রার্থী রায়হান জামিল

 

ইসির নির্দেশে নিজ উদ্যোগে পোস্টার–ব্যানার সরালেন ফরিদপুর-৪ প্রার্থী রায়হান জামিল
ইসির নির্দেশে নিজ উদ্যোগে পোস্টার–ব্যানার সরালেন ফরিদপুর-৪ প্রার্থী রায়হান জামিল

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন অপসারণের ঘোষণা দেওয়ার পর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি নিজ উদ্যোগে তার নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।


শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাট এলাকায় তার শত শত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে অপসারণ করা হয়। তার এই দায়িত্বশীল ও সচেতন আচরণে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা মো. আক্কাস বলেন, “ইসির মাইকিং শোনা গেছে, কিন্তু কোনো প্রার্থীকে নিজ হাতে পোস্টার–ব্যানার উঠাতে আগে দেখিনি। এসব পুরোনো ও ছেঁড়া পোস্টার এলাকায় সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। রায়হানের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”


আরেক স্থানীয় বাসিন্দা শেখ হেলাল বলেন, “মুফতি রায়হান সবসময় উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় থাকেন। তার ভেতর সমাজ সংস্কারের মনোভাব রয়েছে। আজকের কাজটি অন্য প্রার্থীদেরও উৎসাহ দেবে।”


এ ব্যাপারে মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “ইসি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের পোস্টার–ব্যানার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। তাদের প্রতি সম্মান রেখে আমি আমার সব নির্বাচনী সামগ্রী নিজ হাতে সরিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি। পরিবেশ দূষণ রোধ এবং জনগণের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ স্থাপন করাই আমার উদ্দেশ্য। নির্বাচনী প্রতীক পেলে নতুন করে প্রচারণা শুরু করব। ইনশাআল্লাহ, জনগণ আমার পাশে থাকবে।”


চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন সাহা বলেন, “আচরণবিধি নিশ্চিত করতে আজ শুক্রবার থেকে ভোটের দুদিন পর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলা ও থানায় ন্যূনতম দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সব প্রার্থীকেই নিজ খরচে প্রচারণার পোস্টার–ব্যানার অপসারণ করতে হবে, নইলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।”


রায়হান জামিলের এই উদ্যোগ এলাকাজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকে এটিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার একটি সচেতন ও দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা হিসেবে দেখছেন।


উল্লেখ্য, এর আগে মুফতি রায়হান জামিল ১০ টাকা পিস ইলিশ, ২ টাকা কেজি চাল এবং ১ টাকা কেজি গরুর মাংস বিতরণসহ বিভিন্ন আলোচিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় আলোচনায় ছিলেন।

Thursday, November 27, 2025

November 27, 2025

চরভদ্রাসনে জনতার হাতে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক,পাঠানো হলো কারাগারে

চরভদ্রাসনে জনতার হাতে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক,পাঠানো হলো কারাগারে
চরভদ্রাসনে জনতার হাতে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আটক,পাঠানো হলো কারাগারে


নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালিয়ে এক ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম শাহরিয়ার জাহান (৫১)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।


বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীরচর বাজারে অবস্থিত সুব্রত জুয়েলার্স থেকে তাকে আটক করা হয়।


দোকান মালিক সুব্রত জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহরিয়ার তার দোকানে এসে নিজেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন এবং দোকানের কাগজপত্র দেখতে চান। তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে পাশের দোকানে থাকা এক এনজিও কর্মী জানান যে, তিনি একজন প্রতারক এবং এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা করেছেন। এরপর আশপাশের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।


খবর পেয়ে চরভদ্রাসন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যায়েদ হোছাইন ঘটনাস্থলে যান। যাচাই-বাছাই শেষে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৯ ধারায় শাহরিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ দিনের সরল কারাদণ্ড প্রদান করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যায়েদ হোছাইন বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের সত্যতা পাই। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”এ সময় চরভদ্রাসন থানার এসআই গোলাম হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।



Saturday, November 8, 2025

November 08, 2025

নির্বাচনী বাধার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মুফতি রায়হান জামিলের ঝাড়ু মিছিল

 

নির্বাচনী বাধার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মুফতি রায়হান জামিলের ঝাড়ু মিছিল
নির্বাচনী বাধার প্রতিবাদে ফরিদপুরে মুফতি রায়হান জামিলের ঝাড়ু মিছিল

নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিলের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি, গেট-ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুরের প্রতিবাদে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চরভদ্রাসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ। শত শত নেতাকর্মী নিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পদযাত্রা করেন তিনি।


মিছিলটি চরভদ্রাসন উপজেলার এমকে ডাঙ্গী মাদ্রাসা থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চরভদ্রাসন বাজার ব্রিজ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও ভাঙচুরের ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, “মুফতি রায়হান জামিল ফরিদপুর-৪ তথা চরভদ্রাসনের স্থানীয় প্রার্থী। অথচ তার গেট ও ব্যানার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ আসনে বাইরের অঞ্চল থেকে এসে কিছু প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে। রায়হান জামিলের জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তার নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।”


সম্প্রতি সদরপুর ও চরভদ্রাসনের বিভিন্ন স্থানে মুফতি রায়হান জামিলের সমর্থকদের তৈরি করা নির্বাচনী গেট ভেঙে ফেলা এবং ফেস্টুন-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে।


প্রতিবাদ সমাবেশে শক্ত অবস্থান জানিয়ে মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “আমি আমার বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষ ধরে ফরিদপুর-৪ আসনের সন্তান। এই মাটি, এই মানুষই আমার শক্তি। আমি কোনো বাইরের প্রার্থী নই। আমি এখানকার সন্তান হিসেবে মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিয়েই নির্বাচনে নেমেছি। অথচ আমার গেট-ব্যানার ভেঙে আমার প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমার প্রতি নয়, ফরিদপুর-৪ আসনের মানুষের প্রতি অবমাননা।


আমি প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই - এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন, দোষীদের আইনের আওতায় আনুন। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।


আমি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষের মানুষ। কিন্তু যদি আবারও আমার ব্যানার-ফেস্টুন বা গেট ভাঙচুর করা হয়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলব। এই ফরিদপুর-৪ আসনের মাটিতে অন্যায়ের জায়গা হবে না।”



Monday, November 3, 2025

November 03, 2025

ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামা ওবায়েদ, নায়াব ইউসুফ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল

 

ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামা ওবায়েদ, নায়াব ইউসুফ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল
ফরিদপুরে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন শামা ওবায়েদ, নায়াব ইউসুফ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল

নাজমুল হাসান নিরব:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সারাদেশের ২৩৭টি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।


ফরিদপুর জেলার চারটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। প্রার্থীরা হলেন-ফরিদপুর-২ ( নগরকান্দা ,সালথা  ও ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ও হামিরদি ইউনিয়ন ) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কু,ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ,এবং ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।


বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কন্যা শামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কু ফরিদপুর-২ আসনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন।


তিনি বলেন, “এই মনোনয়ন কেবল আমার নয়, ফরিদপুর-২ আসনের মানুষের। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দেবে। বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আর আমি সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।”


তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আস্থা রেখেছেন, আমি তা মর্যাদা দিয়ে রক্ষা করব। ফরিদপুরের মানুষ উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র চায়— আমি তাদের কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করব।”


ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ, যিনি বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ও কিংবদন্তি রাজনীতিক চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা।


তিনি বলেন, “আমার বাবা ফরিদপুরের মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। তার দেখানো পথেই আমি মানুষের পাশে থাকতে চাই। রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব—মানুষের সেবা করার সুযোগ।”


তিনি আরও বলেন, “ফরিদপুর-৩ আসনের জনগণের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি চাই, মানুষ যেন এই আসনে আবারও গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতি ফিরে পায়। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষই সেই পরিবর্তনের প্রতীক।”


ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।


তিনি বলেন, “মনোনয়ন দেওয়া দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি আমাদের মানুষকে সামনে রেখে কাজ করবো এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিবেদিত প্রাণ। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করি। ফরিদপুর-৪ এর মানুষের আশা ও বিশ্বাস রক্ষা করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।”


তিনি আরও যোগ করেন, “এবারের মনোনয়ন আমাদের জন্য বড় অর্জন—দীর্ঘ ১৭ বছর পর এটি সম্ভব হয়েছে বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে। এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে জয় আমাদের হবেই।”


এদিকে ফরিদপুর-১ আসনে (মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী) বিএনপি এখনও চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি। শিগগিরই এ আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।



Friday, October 31, 2025

October 31, 2025

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল, আনন্দে কেঁদে ফেললেন অসহায় মানুষ

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল, আনন্দে কেঁদে ফেললেন অসহায় মানুষ
১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল, আনন্দে কেঁদে ফেললেন অসহায় মানুষ

 


নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর:

অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা–সদরপুর–চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ব্যবসায়ী মুফতি রায়হান জামিল। তিনি মাত্র ১ টাকায় কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন গরিব ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে।


বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে নিজ হাতে অসহায় মানুষের হাতে তুলে দেন এক কেজি করে গরুর মাংসের প্যাকেট। মানবিক এই উদ্যোগে খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়েন দরিদ্র পরিবারগুলো।



গরুর মাংস হাতে পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আক্তার হোসেন নামে এক যুবক বলেন, “রায়হান জামিল ভাই অসাধারণ মানুষ। তিনি যা বলেন, তা করেন। অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে গরুর মাংস খেতে পারব—এটা যেন স্বপ্নের মতো।”


ভ্যানচালক আক্কাস মোল্যা বলেন, “ছয় মাস ধরে মাংস খাইনি। আজ পথে এক প্যাকেট মাংস হাতে পেয়ে আমি অবাক। মন থেকে দোয়া করি তার জন্য।”


গৃহিণী পারভীন আক্তার জানান, “স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে, মাসের বেশিরভাগ সময় কাজও থাকে না। কোরবানির পর আজ প্রথমবার মাংস খেতে পারছি। আল্লাহ যেন এমন ভালো মানুষকে বরকত দান করেন।”


বৃদ্ধ ভ্যানচালক সেক রহিম বলেন, “শুনেছি, উনি নাকি আগে ১০ টাকায় ইলিশও বিক্রি করেছিলেন। আজ ১ টাকায় মাংস দিলেন! আজ আর ভ্যান চালাব না—পরিবার নিয়ে একসাথে ভাত খাব।”


মুফতি রায়হান জামিল বলেন, “বর্তমান বাজারে গরুর মাংসের দাম এত বেড়েছে যে অনেক গরিব মানুষ কোরবানির ঈদ ছাড়া তা খেতে পারে না। তাই আমি তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ১ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। এর আগেও ২ টাকায় চাল, ১০ টাকায় ডিম ও ১০ টাকায় ইলিশ বিক্রি করেছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।”


তিনি আরও বলেন,“ভালো কাজ করলে বাধা আসবেই, কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করা থামাব না। আমি চাই, সমাজে কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে।”


দিনভর এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও তরুণ সমাজকর্মীরা। স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, একজন মানবিক মানুষ হিসেবে মুফতি রায়হান জামিল এখন এলাকার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।



Wednesday, October 22, 2025

October 22, 2025

ফরিদপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন ১৩ বছরের হানযালা

 

ফরিদপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন ১৩ বছরের হানযালা
ফরিদপুরে মাত্র ২০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন ১৩ বছরের হানযালা

নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাত্র ২০ টাকার বিরোধ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশু মাদ্রাসাছাত্র আমির হামজা ওরফে হানযালা (১৩)কে হত্যা করেছে তারই বন্ধু ও সহপাঠী ফরহাদ রেজা (১৬)। 


বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আজম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


গত সোমবার (২০ অক্টোবর) হানযালার বাবা সায়েম উদ্দিন বিশ্বাস ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম। তদন্ত চলাকালেই মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে চান্দড়া মাদ্রাসার পাশে একটি ডোবায় ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা দেখতে পান স্থানীয়রা।


খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি উদ্ধার করে খুললে পাওয়া যায় হানযালার অর্ধগলিত মরদেহ। বস্তার ভেতরে ছিল কয়েকটি ইটও।


এএসপি আজম খান জানান, “ঘটনার রাতে আমি মধুখালী থেকে সরেজমিনে তদন্ত করি। পরদিন সকালে চারটি টিমে ভাগ হয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে অনুসন্ধান শুরু করতেই প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসে।”


তিনি বলেন, “ফরহাদ ও হানযালা দুজনই চান্দড়া তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র। হানযালার কাছ থেকে ফরহাদ ৫০ টাকা ধার নিয়েছিল। ৩০ টাকা ফেরত দিলেও বাকি ২০ টাকার জন্য তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।”


পুলিশের ভাষ্যমতে, আসরের নামাজের পর ফরহাদ হানযালাকে বলে, “চলো, বাড়ি থেকে টাকা দিয়ে দিচ্ছি।” এরপর তারা মাদ্রাসার পেছনের ধানক্ষেত হয়ে পাশের বাগানে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফরহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে হানযালার গলা চেপে ধরে হত্যা করে।


হত্যার পর সে মাদ্রাসায় ফিরে এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে, ক্লাস করে এবং স্বাভাবিক আচরণ করে। পরদিন ভোরে বাড়ি গিয়ে একটি বস্তা ও ইট নিয়ে আসে। হানযালার মরদেহ বস্তায় ভরে পাইজামার ফিতা দিয়ে মুখ বেঁধে ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর গোসল করে মাদ্রাসায় ফিরে যায় এবং পরে পালিয়ে পড়ে।


চান্দড়া তা’লিমুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার মোহতামিম মাওলানা আমিনুল্লাহ বলেন, “দুজনই আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র। এত অল্প বয়সে এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে, তা কল্পনাও করিনি। পুরো মাদ্রাসায় এখন শোকের ছায়া।”


নিহত হানযালা আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের সায়েম উদ্দিন বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে। তিন মেয়ের পর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি।


কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা সায়েম বিশ্বাস বলেন, “আমার মাসুম বাচ্চাটা কী দোষ করল, যে ওকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল! আমার একটাই ছেলে ছিল। আমি খুনির ফাঁসি চাই।”


এ ঘটনায় এলাকায় গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিষ্পাপ শিশু হানযালার মুখ মনে পড়লেই চোখ ভিজে যাচ্ছে স্বজন ও প্রতিবেশীদের।



October 22, 2025

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিল

১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিল
১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিল



নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর:

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী রায়হান জামিল এবার মাত্র ১ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পোস্টার ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।


পোস্টারে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভাঙ্গা উপজেলায় গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য ১ কেজি গরুর মাংস ১ টাকায় বিক্রি করা হবে রায়হান জামিলের পক্ষ থেকে।


এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর, তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রির ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। তখন হাজারো মানুষ ইলিশ কিনতে ভিড় জমালেও পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।


 “বিশৃঙ্খলা এড়াতে টোকেন ব্যবস্থা”

১ টাকায় মাংস বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে রায়হান জামিল বলেন, “আমি আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণ করবো। যাদের দেয়া হবে তাদের তালিকা তৈরি করে টোকেন প্রদান করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিতরণের স্থান গোপন রাখা হবে। আপাতত ১০০ জন অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে ১০০ কেজি মাংস দেয়া হবে।”


তিনি আরও বলেন, “আগের মতো বিশৃঙ্খলা এবার হতে দেব না। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতায় কাজ করবো। ভালো কাজের পথে বাধা আসতে পারে, তবে তা থামানো যাবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”


স্থানীয় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, “রায়হান জামিলের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ফরিদপুরের বড় বড় নেতারাও এমন কাজ করেননি। তার এই মানবিক উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।”


অন্যদিকে মনিরুজ্জামান সেক নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “ছেলেটা মানুষের জন্য চেষ্টা করছে। তার চেষ্টায় যদি অসহায় মানুষ উপকার পায়, তাহলে সেটা ভালো কাজই।”


এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন (বিপি) বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান জামিলের ১ টাকায় মাংস বিক্রির বিষয়ে শুনেছি। তার সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে তাকে এখনো অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি যদি জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে অনুমতি নিতে পারেন, তাহলে পুলিশ প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করবে।”


রায়হান জামিলের এই ঘোষণা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

Saturday, October 4, 2025

October 04, 2025

ফরিদপুরে হত্যার আগে খোঁড়া হলো কবর, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল যুবক

ফরিদপুরে হত্যার আগে খোঁড়া হলো কবর, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল যুবক
ফরিদপুরে হত্যার আগে খোঁড়া হলো কবর, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল যুবক


নাজমুল হাসান নিরব:

ফরিদপুরের সদরপুরে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে ঠান্ডু বেপারী (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যার চেষ্টা চালায়। হত্যার আগে পরিকল্পনা করে কবরও খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।


শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ঠান্ডু বেপারী উপজেলার ছলেনামা গ্রামের মিয়াচান বেপারীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।


প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে ঠান্ডুকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। অচেতন হওয়ার পর রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।


এর আগেই বাড়ির পাশের বারান্দায় একটি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। তবে মুখে দড়ি বাঁধা থাকলেও গলা পুরোপুরি না কাটায় ঠান্ডু বেঁচে যান। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।


খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ওসি সুকদেব রায়। তিনি জানান, “এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”


ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।


ফরিদপুরের সদরপুরে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে এক ব্যক্তিকে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাচেষ্টা ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। হত্যা চেষ্টার আগেই কবর খুঁড়ে রাখা হয়। হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার দেওয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এমন নির্মম ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা  ঘটে। ভুক্তভোগী একই ইউনিয়নের ছলেনামা গ্রামের মিয়াচান বেপারীর পুত্র ঠান্ডু বেপারী (৩৫)। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপ ব্যবসা পরিচালনা করেন। 

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৮), শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম মিলে তাকে কাস্তে দিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এর আগে পাশের ঘরের বারান্দায় একটি কবর প্রস্তুত করে রাখা হয়।


 তবে মুখে দড়ি বাঁধা থাকায় গলা পুরোপুরি না কাটায় ঠান্ডু বেঁচে যান এবং চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর স্বামী ঠান্ডু বেপারীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সদরপুর থানা পুলিশকে খবর দেন তারা।

 

ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি জানান,এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।