প্রিয় হাসান,,
------এম কে জামান
চরনেষু তোমার।
কেমন আছো জানতে বড্ড ইচ্ছে করে।
কেমন করে দিন কাটে তোমার।
এ বেলা কি করছো ?
জীবন স্বপ্নের বাঁধা পথ বেয়ে এখনো
বেঁচে আছি শুধু তোমাকে ভাল বেসে ।
স্বপ্নের মাঝে সরল পথ থাকলেও বাস্তবতা আমরা বিষব রেখার পথ ধরে এগিয়ে চলি।
তোমাকে ভুলে থাকার জন্য অনেক শান্তনা দেই
নিজেকে, কিন্তু হেরে যাই বিবেকের কাছে এসে।
বৌদি সব জেনেও বলেছিল সংসার পাত্তে।
আমি বলে দিয়েছি পারবো না বৌদি।
বিশ্বাসের সাতপাকে কাউকে বেঁধে,
আমি কি সুখি করতে পারবো না ?
আমার জীবনের সত্যকে সে পারবে না,
কোন দিন মেনে নিতে।
আজ পহেলা আশ্বিন।
শরৎ এর নীল আকাশ।
আধলা সাদা মেঘের ভেলা।
গঙ্গা তীরে বসে তোমায় লিখছি হাসান।
আমার চোখের জল ছুঁয়ে যায় গঙ্গায়
আর বয়ে নিয়ে যাবে তোমার পদ্মায়।
তোমার সব চেয়ে প্রিয় তিলের নাড়ু।
তোমাকে রেখে মুখে তোলা সম্ভব নয়।
তাই বিজয় দশমী এলে গঙ্গার জলে
ভাসিয়ে দেয় তিলের নাড়ু। জলে ভাসে
ঠিকই স্রোতে নিয়ে তোমার কূলে। শান্তনা
শুধু এই টুকুই তুমি সেই জলে পা ভাসাবে,
আমি আমার দেবতার পায়ে উৎসর্গ--
করিলাম ভাল বেসে।
সময়ের কড়িডোর যৌবনের মধ্য বয়সে,
এখনো তোমায় ভাল বাসি সেই আগের
মত করে। বিজয় দশমীর উৎসবে আমার
মন বসে না। এমনি এক মহেদ্রক্ষনে তুমি
এসেছিলে অতিথী হয়ে আমার ঘরে।
সেই মধুর স্মৃতি গুলো তোমাকে নিয়ে
ভুলা কি যায় এক জীবনে। হাসান সময় আমার পক্ষে নয় জানি, পরিবারের সবাই বলে তোমাকে ভুলে যেতে।
বৌদির দেওয়া উপহার নীল রঙ্গের কাঁথান
পড়া আমি সোনালী সন্ধ্যায় তুমি দরুদ গলায় গাওয়া নজরুলের সেই বিখ্যাত
গান আজও আমার কর্ণে ভাসে। ভাল
বাসা এমনই হয় বুজি হাসান কোন দিন তোমাকে ভুলা সম্ভব নয়। চোখের আলোতে দূরত্ব থাকলেও মনের আঙ্গিনাতে শুধু তোমারই বাস। আর পারছি না হাসান।
আমি শুধু তোমারই----- নবনীতা
২০/৯/১৯-৯৯ কলকাতা
No comments:
Post a Comment