ফরিপুর প্রতিনিধি-
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামে বিয়ের হওয়ার দুই মাসের মাথায় এক গৃহবধূর (২১) ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর বাবা জানিয়েছেন, দুই মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয় বড়গাঁ গ্রামে। বিয়ের দুই মাস পর তার স্বামী জানতে পারে স্ত্রীর পেটে ৭ মাসের সন্তাান রয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই স্বামী তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে গৃহবধূ জানায় বিয়ের আগে তার একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। তার নাম মিটুল শেখ (২৪)। সে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার হিদাডাঙ্গা গ্রামের মো. আক্কাচ শেখের ছেলে। ঐই সম্পর্কের অবৈধ মেলামেশায় সে গর্ভবতী হয়।মেয়ের পরিবারের লোকজন ছেলেটির ঠিকানা নিয়ে তার পরিবারের সাথে দেখা করে সব কিছু খুলে বলে।
জানা যায়, পরে উভয়পক্ষের অভিভাবকরা শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যার দ্বারস্থ হন। তাৎক্ষণিক শালিসি বৈঠক বসিয়ে উভয়কে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাজী শফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা ও ছেলে-মেয়ের অভিভাবকরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছে।মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই।
চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, ছেলে স্বীকার করেছে ওই তরুণীর পেটে তার সন্তান। তাই উভয়পক্ষের অভিভাবকরা আমার কাছে এসে বিয়ের কথা বলেছে এবং তাদের সম্মতিক্রমেই বিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে ওই মেয়ে তার বর্তমান স্বামী মিটুল শেখের বাড়িতেই বসবাস করছে।
No comments:
Post a Comment