নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের ছাদে ওয়ারিদ ও ইয়ারটেল মোবাইল কোম্পানীর নেটওয়াকিং টাওয়ার বসানো হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত দ্বিতল ভবনের ছাদ ভাড়া দিয়ে মাসে ২৪ হাজার টাকা আয় করে চলেছেন। কিন্ত একই ভবনের দ্বিতল অংশ জুড়ে অন্ততঃ ৫টি কক্ষে চালানো হচ্ছে পাঠদান কর্মসূচী। ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প বা কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়লে বিদ্যালয় ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ বলে শঙ্কা প্রকাশ করে চলেছে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ ব্যপারে উর্দ্ধতন দপ্তরে বার বার অভিযোগ করার পরও উক্ত বিদ্যালয় ভবনের ছাদে থেকে মোবাইল কোম্পানীর টাওয়ারগুলো অপসারন করা হচ্ছে না বলে ছাত্রছাত্রী সহ ম্যানেজিং কমিটির একাধিক কার্যকরি সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
রবিবার উক্ত বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রী মলি আক্তার (১৩) জানায়, “ এ বছর উপজেলায় ঝড়ের প্রবনতা বেশী। বিদ্যালয় ভবনের উপর মোবাইল টাওয়ার থাকায় যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্কুলে ক্লাস করা ঝুঁকিপূর্ন। তাই আকাশে কালো মেঘ দেখলে ক্লাস থেকে পালিয়ে বাড়ী চলে আসি”।
একই দিন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আবু সেলিমের সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার জানান, “ বেশ কিছুদিন আগে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আবু সেলিমকে ডেকে এনে বিদ্যালয় ভবনের ছাদ থেকে মোবাইল টাওয়ার সরিয়ে নিতে বলেছি। একই সাথে বিদ্যালয় ভবনের ছাদে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা যদি ঝুঁকিপূর্ণ না হয় তাহলে প্রকৌশলী কর্তৃক অনুমতি পত্র দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্ত প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত প্রকৌশলী সনদও দেখান নাই, এমনকি মোবাইল কোম্পানীর উক্ত টাওয়ারটি অপসারনও করেন নাই”।
বিদ্যালয় কার্যকর কমিটির সদস্য শাহজাহান ঝন্টু ও গিয়াস উদ্দিন মোল্যা জানায়, “ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ার পর গত আড়াই বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনের ছাদের উপর মোবাইল টাওয়ারগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বার বার অনুরোধ করছি। উক্ত সদস্যরা আরও জানান, ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে এনে টাকার লোভে আমরা প্রাণনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারি না বলে স্কুলের বিভিন্ন সভায় প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্ত প্রতি মাসে মোবাইল কোম্পানীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক মোটা অংক পাচ্ছেন। তাই তিনি টাকার লোভ সামলাতে পারেন নাই বলে ছাত্রছাত্রীর জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রেখেও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ভবনের ছাদে মোবাইল টাওয়ার বহাল রেখেছেন”
রবিবার উক্ত বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রী মলি আক্তার (১৩) জানায়, “ এ বছর উপজেলায় ঝড়ের প্রবনতা বেশী। বিদ্যালয় ভবনের উপর মোবাইল টাওয়ার থাকায় যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্কুলে ক্লাস করা ঝুঁকিপূর্ন। তাই আকাশে কালো মেঘ দেখলে ক্লাস থেকে পালিয়ে বাড়ী চলে আসি”।
একই দিন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আবু সেলিমের সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার জানান, “ বেশ কিছুদিন আগে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আবু সেলিমকে ডেকে এনে বিদ্যালয় ভবনের ছাদ থেকে মোবাইল টাওয়ার সরিয়ে নিতে বলেছি। একই সাথে বিদ্যালয় ভবনের ছাদে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা যদি ঝুঁকিপূর্ণ না হয় তাহলে প্রকৌশলী কর্তৃক অনুমতি পত্র দেখানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্ত প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত প্রকৌশলী সনদও দেখান নাই, এমনকি মোবাইল কোম্পানীর উক্ত টাওয়ারটি অপসারনও করেন নাই”।
বিদ্যালয় কার্যকর কমিটির সদস্য শাহজাহান ঝন্টু ও গিয়াস উদ্দিন মোল্যা জানায়, “ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ার পর গত আড়াই বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনের ছাদের উপর মোবাইল টাওয়ারগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বার বার অনুরোধ করছি। উক্ত সদস্যরা আরও জানান, ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে এনে টাকার লোভে আমরা প্রাণনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারি না বলে স্কুলের বিভিন্ন সভায় প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্ত প্রতি মাসে মোবাইল কোম্পানীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক মোটা অংক পাচ্ছেন। তাই তিনি টাকার লোভ সামলাতে পারেন নাই বলে ছাত্রছাত্রীর জীবনের ঝুঁকির মধ্যে রেখেও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ভবনের ছাদে মোবাইল টাওয়ার বহাল রেখেছেন”
No comments:
Post a Comment