ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার জাকেরের সুরা সংলগ্ন ভাংগার মাথা নামক স্থানে সোমবার বিকাল ছয়টার দিকে বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী কে.এম. ওবায়দুল বারী দিপু এর একটি আনলোড ড্রেজার (৫০*১২ ফুট), একটি সিক্স সিলিন্ডার ইঞ্জিন ও একটি ২৫ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে এম.পি. ডাংগির এলজিইডির রাস্তা ফুটো করে পাইপ দিয়ে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি রাস্তায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শেখ আব্দুল কুদ্দুসকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৮৯(২) ধারা মোতাবেক (একই আইনের তফসিল ৫ এর ৫ নং অপরাধ) ১৫,০০০/- (পনেরো হাজার টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। একই আইনে ম্যজস্ট্রেট বাড়ী সংলগ্ন সরকারি রাস্তায় বালু ফেলে রাস্তায় অবরোধ করার দায়ে মোঃ হায়দার হোসেন কে ৫০০০/- (পাচ হাজার টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া উক্ত উপজেলার হাজীগঞ্জের নতুন দোকান সংলগ্ন পদ্মার পাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় রাস্তার পাশ দিয়ে বসানো ২০০০ (দুই হাজার) ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভ‚মি) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান ,“দীর্ঘদনি যাবৎ উক্ত ব্যাবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু উত্তলন ও বিক্রি করে আসছিল।জনসাধারনকে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করার আহবান জানানো যাচ্ছে।এ অভিযান অব্যহত থাকবে”।
জব্দ ও জরিমানা করলেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে প্রভাবশালী নেতা ও চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কে.এম. ওবায়দুল বারী দিপু।
এলাকাবাসী জানান , কে এম ওবায়দুল বারী দীপু গত এক মাস ধরে পদ্মা নদীতে কাটার মেশিন বসিয়ে বলগেটের মাধ্যমে পাহাড় সম বালুর ডিবি তৈরী করে রেখেছেন এবং এলাকায় শতাধিক স্থানে ভরাট বালি সরবরাহ করছেন। ভাঙন কবলিত পদ্মায় কাটার মেশিন দিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলনের ফলে নদী পারের বসতভিটেগুলো চরম হুমকীর মধ্যে রয়েছে।এছারা তিনি গত দশ বছর যাবৎ এই অবৈধ ব্যাবসার সাথে জড়িত। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
No comments:
Post a Comment