গত ০৬/০৭/২০২০ ইং তারিখে অনলাইন নিউজ পোর্টাল “দৈনিক আজকের সারাদেশ ” এ ‘পরকিয়ার জেরে ফরিদপুরের শহরতলীতে স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ সবৈব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হইতেছে। কারণ প্রকাশিত সংবাদে আমার (চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন) বিরুদ্ধে স্ত্রী মাসুমা আক্তারী রিতুকে নির্যাতন এবং আমার বিরুদ্ধে পরকীয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক হইতেছে। এছাড়া গত ৫ জুলাই এর কথিত ঘটনা উল্লেখে যে কল্পকাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে তা একবারেই অসত্য হইতেছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে একটি প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত সত্যকে আড়াল করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
লজ্জাজনক হলেও সত্য যে, আমার স্ত্রী নিজেই পরকীয়ায় আসক্ত। তার ধারাবাহিক পরকীয়ার বিষয়ে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের বিভিন্ন হোটেল রেজিষ্টার ও থানায় সাধারণ ডাইরী ভূক্ত রয়েছে। রবিউল সেখ, মোঃ মঞ্জুর হোসেন এবং সর্বশেষ গত ১৩ জুন’ ২০২০ তারিখে ফরিদপুর ২ নং পুলিশ ফাঁড়ির এক এসআই এর সাথে ইয়াছিন কলেজের পিছনে শিক্ষক মোহাম্মদ আলৗর ভাড়া বাসায় জনরোষের শিকার হন। এক পর্যায়ে বাড়ীর প্রবেশপথের দরজায় কৌশলে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে ঘরের মধ্যে থাকার বিষয়টি স্থানীয় জনগণ বুঝতে পেরে তাদের আটক করে। অবস্থা বেগতিক হলে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনরোষ থেকে মাসুমা আক্তারী রিতু ও এসআই কে ২ নং পুলিশ ফাঁড়ি নিয়ে যায়। পরে ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুমা আক্তারীকে তার আপন বড় ভাই হাসানের হেফাজতে ছেড়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তৃপক্ষ এসআই এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে ক্লোজড করেন। এবিষয়ে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে সকল ঘটনা উল্লেখে আমি পরপর তিনদিন ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডাইরী করতে গেলে এসআই এর নাম উল্লেখ থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ জিডি গ্রহণ করেননি। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশী তদন্তে স্বাক্ষী হিসেবে প্রান্ত, মাহবুবুর রহমান ও প্রান্ত ইসলামের নাম উল্লেখ থাকে ।
প্রকৃতপক্ষে এই সত্য ঘটনা আড়াল করতে বর্তমানে বিভাগীয়ভাবে অভিযুক্ত এসআই আসলাম ও মোঃ মঞ্জুর হোসেন এর কুপ্ররোচনায় আমার স্ত্রী মাছুমা আক্তারী রিতু আমার বিরুদ্ধে (৫ জুলাই) কথিত ঘটনা উল্লেখে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরীরত থাকায় দায়িত্ব নিয়ে সততার সাথে উল্লেখ করতে চাই আমি কখনই কথিত পরকীয়া কিংবা স্ত্রী নির্যাতনের মত গর্হিত ও জঘন্য ঘটনার সাথে কখনই জড়িত ছিলাম না। উপরন্ত জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকি সত্বেও আমার ঔরষজাত ২ টি সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে স্ত্রীর সকল অপকর্ম সহ্য করে তাকে এখনও স্ত্রীর মর্যাদায় আমার বাড়ীতে অবস্থানের সুযোগ দিয়ে যাচ্ছি। এটি আমার গর্ভধারিনী মাতার অনুরোধ ও তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি নিদর্শনমাত্র।
আমি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই গত ৫ জুলাই’ ২০ তারিখের কথিত যে ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তার সাথে আমার আদৌ কোন সম্পৃক্ততা নাই। আমি ওইদিন রাজবাড়ীতে যথারীতি অফিস করি এবং রাতেও রাজবাড়ীতেই অবস্থান করি। আমি কথিত ঘটনার তারিখে ফরিদপুরে যাইনি। আমার মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড পর্যালোচনায় এবং আমার ফরিদপুরের বাসার সিসি ক্যামেরার রেকর্ড পর্যালোচনায় এর সত্যতা মিলবে।
আমার জানামতে ওইদিন আমার স্ত্রী রিতু তার অনৈতিক কর্মকান্ডের সমালোচনা করার অজুহাতে আমার চাচাত ভাই শামীম চৌধুরীর ঘরে যেয়ে তার স্ত্রী বন্যা চৌধুরীকে ধমক শাসন, গালিগালাজ এবং এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালিয়ে ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে। এবিষয়ে বন্যা চৌধুরী আহত অবস্থায় থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এরপরও মাছুমা আক্তারীর কথিত ঘটনা উল্লেখে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে-
তারিখ : ০৭/০৭/২০২০ ইং
( চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন)
পিতা-মানোয়ার হোসেন চৌধুরী
গ্রাম- উত্তর সাদীপুর
থানা - কোতয়ালী, জেলা-ফরিদপুর
No comments:
Post a Comment