ডেস্ক:
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের উথলী আমডাঙ্গা কাজী ফরিদা সিরাজ উচ্চ বিদ্যানিকেতনে সহকারী শিক্ষক মাকসুদা পারভীন ২০০২ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ২০২০ সালে এমপিও ভুক্তের সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানা, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে মাকসুদার পারভীনের এমপিও ভুক্তির কাগজপত্র না পাঠিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। যে কারণে মাকসুদা পারভীন এমপিও থেকে বাদ পড়েন। এমপিও ভুক্তি না হওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১০জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ মধুখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন মাকসুদা পারভীন।
আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ৪১/২০২০, তারিখ ৫ আগস্ট ২০২০ খ্রিঃ সুত্রে জানা গেছে। কাজী ফরিদা সিরাজ উচ্চ বিদ্যানিকেতনে সহকারী শিক্ষক সমাজ বিজ্ঞান অতিরিক্ত শাখা সৃষ্ঠ ‘খ’পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে মাকসুদা পারভীনসহ অনেকেই আবেদন করেন। যাচাই বাছাই শেষে ২৫ মে ২০০২ খ্রিঃ তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাকসুদা পারভীনের বরাবরে ২৫ মে ২০০২ খ্রিঃ তারিখে নিয়োগপত্র ইস্যু করেন। তিনি নিয়োগপত্র প্রাপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর ২৯ মে ২০০২ খ্রিঃ তারিখে যোগদান করেন। সে ২০০২ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বিনা বেতনে দায়ীত্ব কর্তব্য পালন করে আছেন। সম্প্রতি ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এমপিও ভুক্তের প্রয়োজনীয় সকল আবশ্যিক বৈধ কাগজপত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক অন্যান্য সকল শিক্ষক কর্মচারীর সাথে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানার দপ্তরে জমাদেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানা এমপিও ভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অন্যান্য সকলে কাগজত্র পাঠালেও, মাকসুদা পারভীনের কাগজপত্রাদি না পাঠিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। প্রয়োজনীয় চাহিদা মাফিক অর্থ প্রদান না করায়, মাকসুদা পাভীন এমপিও থেকে বাদ পড়েন বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করেন। মামলার অন্যান্য বিবাদীগণ হলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি,সচিব,ফরিদপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, বেনবেইজের পরিচালক, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.এনামুল হককে মাকসুদা পারভীন এমপিও ভুক্তি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন তাঁর নিয়োগ বৈধ। এমপিও ভুক্তের জন্য চাহিদা মত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। কেন তিনি পাঠান নাই তিনিই ভাল বলতে পারবেন। আমার জানা নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানার কাছে তাঁর মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গাড়ীতে। মামলা হয়েছে জানি। রোববারে অফিসে আসেন বিস্তারিত বলবো।
No comments:
Post a Comment