ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএনপি নেতা কে.এম ওবায়দুল বাড়ি দিপু খান কে হত্যা চেষ্টা মামলায় রবিবার রাত ১০ টায় (১/১১/২০২০) গ্রেপ্তার করেছে চরভদ্রাসন থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার হরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুরে শেখ আসাদ (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে পেট কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে।এই ঘটনায় দীপু খানকে প্রধান করে চরভদ্রাসন থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন আহত আসাদের মা আসমা বেগম।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব থেকে দীপু খার সাথে আসাদের বিরোধীতা ছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দীপু খার পক্ষে কাজ না করায় এই বিরোধ চরমে পৌঁছে। সেই জের ধরেই গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চরশালেপুর এলাকার মৃত শেখ আবদুল খালেকের ছেলে শেখ আসাদকে কুপিয়ে আহত করে দিপু খার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা।এ সময় আহত আসাদের পেট কেটে ভূড়ি বের হয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আসাদকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। আসাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী যুবদল নেতা ওবায়দুল বারী দিপু খান অগে থেকেই ধর্ষণ, ভূমি দখল, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী হিসেবে আলোচিত । এই মামলার অন্যতম আসামি তার ভাতিজা উজ্জল খান তার আপন মামাতো-ফুফাতো দুই বোনকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, চায়না আক্তার নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও তার গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার অভিযোগে দীপু খান, তার ভাই টিটু খান এবং দীপু খানের স্ত্রীর নামে এর আগেও ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার মামলার রয়েছে। মামলাটির চার্জশিট গঠনের পরে উচ্চ আদালত থেকে মামলাটি স্থগিত করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আটক দিপু খানের পরিবার জানায়,এই ঘটনায় তার কোন সমপৃক্ততা নেই।রাজনৈতিক রোষানলে তাকে আটক করা হয়েছে।দ্রæত সত্য ঘটনা উন্মোচিত হবে।
চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,হত্যা চেষ্টা মামলায় দিপু খানকে আটক করা হয়। বাকী আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাকে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
No comments:
Post a Comment