ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে বালিয়া ডাঙ্গী,ফাজিলখার ডাঙ্গী গ্রামগুলোতে যাতায়াতের ইটের রাস্তায় খাল এবং নবনির্মিত বক্স কালভার্টের পাশ ঘেঁষে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ছাপড়া ঘর তুলেছেন বলে সরেজমিনে দেখা গিয়েছে । আজ রবিবার(২৯ মে) সরেজমিনে গেলে দেখা যায় কালভার্টের এক প্রান্তে তিনি একটা এক চালা ঘড় তুলেছেন এবং অন্য প্রান্তে একটি একচালা ঘড় নির্মানাধীন অবস্থায় আছে।
জানা যায়,ওই প্রভাবশালী বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মৃত আঃ ছালাম শিকদারের ছেলে জামাল শিকদার (৪০) গত রোববার দুপুর লোকজন নিয়ে কালভার্টের ঢাল অংশ জুড়ে স্থাপনা গড়তে থাকেন। পরে প্রশাসনিক বাঁধার মুখে স্থাপনা নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হলেও পুনরায় দখলদার স্থাপনা নির্মান করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপরে দখলদার জামাল শিকদার জানায়, “ আমার রেকর্ড ও মালিকানা জমির কিছু অংশের মধ্যে বক্স কালভার্টটি গড়া হয়েছে বিধায় আমি ঢাল অংশে ঘর তুলেছি”। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সার্ভেয়ার,তহশীলদার, ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার সহ সকলে আমার কাগজপাতি দেখে ঘড় ওঠানোর অনুমতি দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা মুঠোফোনে বলেন, “আমি সরকারি যায়গায় ঘড় ওঠানোর কোন অনুমতি দেইনি,কারো কোন অভিযোগ থাকলে আমার সাথে দেখা করতে বলেন। আমি তাকে সাথে করে নিয়ে উচ্ছেদ করে দিব”।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানায়, যেভাবে দুইপাশে বালু দিয়ে ভরাট করে ঘড় তোলা হয়েছে তাতে খালের পানির গতিপথ নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া বালু দিয়ে কালভার্ট
ভরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যার সময় রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে রয়েছে উন্মুক্ত ফসলী মাঠ। আশপাশের পাঁচ গ্রামবাসীর দীর্ঘকালের চাওয়ার ছিল ওই ফসলী মাঠের মধ্যে দিয়ে উপজেলায় যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা ও খাল পয়েন্টে একটি বক্স কালভার্ট নির্মান করা। মাত্র তিন বছর আগে ওই ফসলী মাঠের মধ্যে দিয়ে প্রায় ২ কি.মি এলাকায় ইটের রাস্তা নির্মানের পর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৭ টাকা ব্যায়ে ২৮০ মিটার একটি বক্স কালভার্ট নির্মান করেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে গ্রামবাসীদের বহু দিনের চাওয়া পাওয়া পুরন হয়। কিন্তু সম্প্রতী এ বক্স কালভার্টে ঢাল অংশ দখলের পায়তারা দেখে এলাকার অনেকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
No comments:
Post a Comment