বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে হামলা,বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর | আমাদের ফরিদপুর

বোয়ালমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে হামলা,বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর | আমাদের ফরিদপুর

আব্দুল্লাহ আল মামুন রনী,প্রতিনিধি বোয়ালমারী:

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

বরিবার(৯ অক্টোবর) সন্ধার দিকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ রাত ১১ টার দিকে বোয়ালমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার শেখর ইউনিয়নে  নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তিতে একটি জন্ম নিবন্ধন নিয়ে অভিযোগ উঠাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ  ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ারম্যান কামাল আহমেদের সহস্রাইলে অবস্থিত  ইউনিয়ন সেবাদান (অস্থায়ী) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। 

 

স্থানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, শেখর ইউনিয়নে নতুন ভোটার তালিকার কাজ চলছে। সে অনুযায়ী রবিবার কতিপয় যুবক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি করে নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার  অপারেটরের সন্দেহ হলে অনলাইনে সার্চ দিলে ভুয়া প্রমানিত হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ এ কাজে জড়িত সহস্রাইল গ্রামের ফটিক মোল্লার ছেলে কিবরিয়া মোল্লাকে(২৫) ডেকে জাল স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চান এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। এ ঘটনা কিবরিয়া মোল্লার পক্ষের লোকজন জানতে পেরে ইট-পাটকেল,লাঠি-সোটা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ বিষয়ে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল আহমেদ  বলেন, নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সহস্রাইল গ্রামের কিবরিয়া মোল্লা নামের এক যুবক আমার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি করে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করে ধরা পড়ে। এ বিষয়ে কিবরিয়াকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে এলাকার জিল্লু, সুমন,রোমান ও মানিকের নেতৃত্বে একদল যুবক আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। অফিসের আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ভাংচুর করে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনায় রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সঠিক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরবর্তীতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কিবরিয়া বলেন,চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত আক্রোশে আমাকে অফিসে হেনস্থা করেন।ভুয়া জন্মনিবন্ধন এর ব্যাপারে কিছুই আমি জানিনা।তিনি আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন।জাকারিয়া সুমনকে অফিসের ঝাড়ুদার ইমরান চড় মারেন।বিষয়টি জানাজানি হলে সহস্রাইল চৌরাস্তায় সংঘর্ষ বাধে।আমরা  ঐ কার্যালয়ে আর ঢুকিনি।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ আসলে আমরা ফিরে আসি।ছবি ভাংচুর এর প্রশ্নই আসেনা।ঐ ভবনের ও আশেপাশের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।